সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (১৪ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও noticeableভাবে কমে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই এই প্রবণতা দেখা গেছে, যা ডিএসই ও সিএসই সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে জানা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে। অন্যদিকে, শরিয়াহ সূচক সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১ পয়েন্টে, যা বর্তমানে ১১০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১৯০০ পয়েন্টে রয়েছে।
ডিএসইতে 이날 মোট লেনদেন হয়েছে ৫৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা কম। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৬৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
ডিএসইতে সোমবার toplam ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৬টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৬৩টির দাম কমেছে, এবং ৭৬টির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এই দিন লেনদেনের শীর্ষস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, বিচ হ্যাচারি, বিএটিবিসি, সী পার্ল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, রহিমা ফুড এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে ১০৮টির দাম বেড়েছে, ৯৭টির দাম কমেছে, এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
সিএসইয়ের লেনদেনের পরিমাণ সোমবার ছিল ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১ কোটি টাকা কম। আগের দিন এই পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
মোট মিলিয়ে, সোমবার পুঁজিবাজারে সব মিলিয়ে সূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মনে এক ধরনের সতর্কতা তৈরি করছে।