প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের মধ্যকার বৈঠকের পর বাংলাদেশ জাতীয় দল বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, এই সিদ্ধান্ত জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে।
শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এই মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা এবং সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার ব্যাপারে আশাবাদী থাকায় তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই সেই আশা করি।”
গত বৃহস্পতিবার সিইসি নাসির উদ্দীন প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়। রিজভী আরও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার বিষয়টি ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস রাখে অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে কাজ করবেন। বিএনপির বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারে।
বর্তমান দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকটের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে, ময়লার সংস্কৃতি বিদ্যমান। এসব থেকে মুক্তি পেতে হবে এবং গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২ শতাংশ, যা এ বছর কমে ৩.৯ শতাংশ হয়েছে। আমরা সরকারকে এই বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করব, অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে চাই। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার প্রত্যাশা আমাদের।”
বিগত সময়ের অগণতান্ত্রিক সরকারের কারণে দেশের অর্থ বিপুলহারে লোপাট হওয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়ার ধ্বংসের কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, “তারা কখনো প্রকৃত গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল না। জনগণ আশা করে, অধ্যাপক ইউনূস দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।”