ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ফখরুল: নির্বাচিত প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত না করে এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক কাঠামোর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না করেই দেশের প্রকৃত কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি এই প্রক্রিয়াকে রাতারাতি বা কয়েকটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি ঘোরতর ভুল হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সময় ও ধারাবাহিকতা দাবি করে।’

তিনি বলেন, সরকার যদি ভাবেন তারা কাল থেকে পুলিশে ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারবেন, সেটি বাস্তবসম্মত নয়। ‘‘আপনাকে এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে ঘুষ নেওয়া কঠোরভাবে দমন করা হয়।’’

জিয়া পরিষদের আয়োজনে ‘‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’’ শীর্ষক এই আলোচনা সভাটি গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত হয়।

দেশের উন্নয়নে ব্যাঘাত হিসেবে বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দায়ি করে ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের দেশে নেতিবাচক আমলাতন্ত্র উন্নয়নের প্রধান বাধা। এটি একটি ইতিবাচক কাঠামোর মধ্যে রূপান্তর করতে হলে জনগণকে মূল প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে।’’

তিনি আরও বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, তাদের চাহিদাগুলো বুঝে সেই চাহিদা রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা।

নির্বাচনের দাবিকে ঘিরে বিএনপির বিরুদ্ধে চলমান সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘‘যখনই আমরা নির্বাচন আয়ের কথা বলি তখনই বলে বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে আমরা কেন নির্বাচন চাচ্ছি?’’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘‘নির্বাচন ছাড়া সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত সম্ভব না। জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংসদ গঠন সম্ভব নয়। সংসদ ছাড়া জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠাও অসম্ভব।’’

ফখরুল বলেন, ‘‘দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ব্যক্তিগত কয়েকজনের ওপর ছেড়ে দেয়া যায় না, বাড়ি-বিদেশ থেকে ভাড়া করে কতজন নিয়ে আসলেই দেশ চলে না।’’