ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর শিক্ষার্থী ধর্মে হামলার ঘটনা: মহিউদ্দীন রনি

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন থামার anychchar নিচ্ছে না, বরং তা আরও তীব্র হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দীন রনি এই ঘোষণা দেন।

মহিউদ্দীন রনি অভিযোগ করেন, আমরা ন্যায্য ও ডিজিটাল দাবির পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শান্তিপূর্ণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর বারবার ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ও প্রশাসন-সমর্থিত একটি চক্র জড়িত। বিশেষ করে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, হামলার পর সংশ্লিষ্টরা উল্লাস করে ‘‘খিচুড়ি পার্টি’’ এবং ১৫ আগস্টের স্মরণে কাঙালীর ভোজের ব্যবস্থা করেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

মহিউদ্দীন রনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, এই আন্দোলন থামানো যাবে না। যতদিন না দালালচক্র ভেঙে প্রকৃত ও ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, ততদিন তারা তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন এবং রাজপথ ছাড়বেন না। যদিও কিছু মহল বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে আসছে যে আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেছে, বাস্তবে আন্দোলন চলছে এবং চলতেই থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামী রোববার সকাল ১১টায় বরিশাল সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল টাউন হল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচিতে বরিশালবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মূল লক্ষ্য চিকিৎসা সেবায় অব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট এবং দালালচক্র ভেঙে সাধারণ মানুষের জন্য দালাল মুক্ত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তবে আন্দোলনরতরা প্রায়শই হামলা ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।