বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বিআইটি মডেলের মতো স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে উভয় দিকের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধিত হয় এবং সাধারণ যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দুই মাস ধরে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন। স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের দাবিতে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
পুলিশ তাঁদের সরাতে হঠাৎ লাঠিচার্জ করলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের লাঠি হাতে মারাত্মক আঘাতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা পরে সড়ক থেকে সরে এসে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তাদের সব দাবির পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাবেন না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বরিশাল বন্দর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি, বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজহারুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে এবং তাদের প্রতিনিধি দলকে জেলা ও বিভাগীয় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসানো হবে বলে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ লিটন রাব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিসংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।