ঢাকা | শনিবার | ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

‘বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বলেছেন,

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের একটি ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায়

রাখতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও প্রতি বছর কর্মসংস্থানের বাজারে

প্রবেশকারী ২০ লাখ তরুণের জন্য আরও উন্নত কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর শনিবার(১২ জুলাই) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন

‍জুট। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের সঙ্গে আমার তৈরি বন্ধুত্বের খুব মধুর

স্মৃতি রয়েছে। বাংলাদেশি জনগণের সহনশীলতা, সৃজনশীলতা এবং তাদের সন্তানদের জন্য

একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্প দেখে আমি সর্বদা মুগ্ধ

হয়েছি।’

বিশ্বব্যাংকের মতে, তার চার দিনের সরকারি সফরে জুট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক

মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

আহসান এইচ মনসুর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাতের

প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কান্ট্রি ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর

থেকে দশ বছরে যে রূপান্তরমূলক পরিবর্তনগুলো অর্জিত হয়েছে—তা তিনি সরাসরি দেখার

জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে

বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক

চলতি জুলাইয়ের ১ তারিখে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জুট। এর আগে তিনি ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ডাচ নাগরিক জুট ১৯৯৯ সালে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন এবং ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব

পালন করে আসছেন।

তিনি সর্বশেষ ব্রাজিলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন

করেছেন। এর আগে তিনি অপারেশনাল পলিসি ও কান্ট্রি সার্ভিসেস (ওপিসিএস) ভাইস

প্রেসিডেন্সির অধীনে কৌশল, ফলাফল, ঝুঁকি ও এবং শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।

জুট তুরস্ক, কোমোরোস, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস ও সোমালিয়ার

কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানকারী প্রথম দিকের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে

অন্যতম ছিল বিশ্বব্যাংক।

তখন থেকে, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৬০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,

যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ)

সহায়তায় পরিচালিত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান।