ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় গভীর প্রত্যাঘাত ও নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার ফলে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত ৩১ আগস্ট এই হামলার ঘটনা ঘটে, সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের শাখা নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান ফেসবুকে লিখেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের শেষ নাই, সতর্ক থাকো বাংলাদেশ।’ একইসঙ্গে, সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বহিরাগতরা আমাদের ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়েছে, আমরা এই ধরনের বর্বরতা মানি না। ১৯ সেপ্টেম্বর বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসবে—তারা কি করে পারবে যদি এই পরিস্থিতি বিরাজ করে? শিক্ষার্থীদের এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই।’ অন্য একজন নেতা মো. তরিকুল ইসলাম তুষার লিখেছেন, ‘অযোগ্য ভিসি ও প্রক্টরকে তিনি পদত্যাগের দাবি জানান।’

এদিকে, আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাখা এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, বহিরাগতদের বর্বরোচিত হামলার কারণে ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের সিদ্ধান্তেরও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, গ্রন্থাগারে আশ্রয় নেওয়া শিক্ষার্থী ও বাঙালি নারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ভাঙচুর ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে কিছু ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং অপ্রত্যাশিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের নির্দেশ কম গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সিদ্ধান্ত শিথিল করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও, গত রোববার গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে এবং ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন উদ্যোগের দাবি নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা এক বিবৃতি প্রদান করেন। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষা পরিবেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। সন্ত্রাসীদের হামলার বিরুদ্ধে তা সহ্য করা হবে না এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের দ্রুত কার্যক্রমের আহ্বান জানানো হয়।

সংক্ষিপ্তভাবে, এই ধরনের বর্বরোচিত হামলার ঘটনা প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।