ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন ছিল বৃষ্টির বাধা ও ইংল্যান্ডের বোলারদের দাপটে পূর্ণ। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনে মাত্র ৬৪ ওভার খেলা সম্ভব হয়েছে। ইংল্যান্ডের বল্লাররা যখন বল হাতে চাপ তৈরি করছিল, তখন ভারতের ব্যাটাররা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রথম দিনের শেষে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান সংগ্রহ করেছে। দলের হয়ে দৃঢ় মনোবল দেখিয়েছেন করুণ নায়ার, যিনি ৫২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুটা ভালো করতে পারেনি। মাত্র ৩৮ রানে হেরে ফেলে দুই উইকেট। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল যথাক্রমে ২ ও ১৪ রান করেই আউট হন। তবে তৃতীয় উইকেটে আহমেদ সাই সুদর্শন ও অধিনায়ক শুভমান গিল ৪৫ রানের দৃঢ় জুটি গড়ে দলের ভিত মজবুত করেন।
সুদর্শন ৩৮ ও গিল ২১ রানে আউট হলেও এই ইনিংসগুলো ইতিহাস তৈরি করে। গিল নিজস্ব করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স ও ভারতের স্বদেশী সুনীল গাভাস্কারের দীর্ঘদিনের রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সফরকারী অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করার ৫৯ বছরের সোবার্সের রেকর্ড ভেঙে গিল নিজের নাম লেখান। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোবার্স ৭২২ রান করেছিলেন।
একইসঙ্গে, গাভাস্কারের ৪৬ বছরের রেকর্ডও ভেঙে গেছেন গিল। ১৯৭৮-৭৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৬ টেস্টে ৯ ইনিংসে গাভাস্কার সংগ্রহ করেছিলেন ৭৩২ রান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজেই গিল করেছে ৭৪৩ রান, যা ভারতের অধিনায়কের জন্য এক নতুন মাইলফলক।
দলীয় ১০১ রানের ভরসার জুটির পর সুদর্শন ও গিল যখন ফিরে গেছেন, তখন রানের চাকা ঘুরেছেন করুণ নায়ার। রবীন্দ্র জাদেজা মাত্র ৯ রান করে, আর উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল ১৯ রানে থামলেও নায়ার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি অর্জন করেন।
৭ম উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিন শেষ করেন নায়ার। সাতটি চারের সাহায্যে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন নায়ার, আর সুন্দর প্রায় সতীর্থ অবস্থায় ১৯ রানে অপরাজিত। প্রথম দিন খেলায় বৃষ্টি ও ইংল্যান্ডের বোলারদের শক্তি দৃশ্যমান হলেও করুণ নায়ারের লড়াই দলকে সামলাতে অনেক সাহায্য করেছে।