ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, পর্যটন নগরী বান্দরবানে ইসলামের
আদর্শ, সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিকাশে ‘জেলা মডেল মসজিদ’ একটি
কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
শনিবার (৫ জুলাই) বান্দরবান জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের
ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রায় বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে
নানামুখী ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত
সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত
ব্যবস্থাসহ নারী ও পুরুষদের আলাদা ওজু এবং নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা
কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা,
অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের
নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি
দাওয়াতের জন্য সম্মেলনকক্ষসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব
মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ)
আ. ছালাম খান, ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের
পরিচালক মো. শহিদুল আলম, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার, পার্বত্য
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শারমিন আরা রিনি,
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস. এম. মঞ্জুরুল হক, উদ্বোধন আয়োজক কমিটির সদস্য
কাজী মো. মুজিবুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আইয়ুব।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ওসমান গণি, আলহাজ্ব আবুল কাসেম সওদাগর,
নাসিরউদ্দিন, আশরাফউল্লাহ বাচ্চু, মাওলানা আবুল কালামসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের পর ধর্ম উপদেষ্টা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ায়
আরেকটি মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৭
কোটি টাকা।