জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছেন, যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই আলোচনা ও ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন। তিনি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের দায়িত্ববোধ জাগাতে অনুরোধ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্দশ দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্যরা যেমন— বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছে দলগুলো, এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছু বিষয়েও সমাধান হয়েছে। তবে যেসব বিষয়ে এখনও মতবৈষম্য রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোনো আলাদা বা স্বতন্ত্র সত্তা নয়; এটি রাজনৈতিক দলগুলোর যৌথ প্রয়াসের অংশীদার। তাই আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে তা শুধুমাত্র কমিশনের নয়, বরং সবারই। ব্যর্থতার সুযোগ আমাদের নেই।”
আলী রীয়াজ বলেন, “সকলের সমন্বিত সহযোগিতায় আমাদের এই প্রচেষ্টায় সফল হতে হবে। এর মাপকাঠি হলো, আমরা কতটুকু কাঠামোগত সংস্কারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব।”
আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আলোচনার মাধ্যমে তারা দেশের রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।