ঢাকা | রবিবার | ১০ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মনির হায়দার: মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের সবচেয়ে মহামূলক ঘটনা হলো জুলাই অভ্যুত্থান

ঐকমত্যের প্রধান উপদেষ্টা ও সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এবং গভীর প্রভাব ফেলা ঘটনা হলো জুলাই অভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের পর গত ৫৩ বছরে এই ধরনের কোনো বড় ঘটনা আর ঘটেনি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী এতো বিস্তৃত প্রভাব রাখার মতো ঘটনা খুবই বিরল। এমন এক ঘটনা যা সরকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এমনকি মসজিদের ইমামদের পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

শনিবার বিকালে গাংনী মিনি স্টেডিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থান ফুটবল টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা উদ্বোধনের আগে মনির হায়দার এই উক্তি করেন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলোর অবস্থান অটল থাকবে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ থাকবে না। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনো দেশে ফিরে আসে না, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক হলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রু নেই, আমাদের একমাত্র শত্রু হলো ফ্যাসিবাদ।

মনির হায়দার আরো বলেন, এই ফুটবল টূর্ণামেন্ট শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, এটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেয়। জুলাই ২৪-এর শিক্ষা আমাদের শিখিয়েছে, ২০২৪ সালের আগে এবং পরে বাংলাদেশের ভবিষ্যত একেবারেই আলাদা, রাত এবং দিনের মতো পার্থক্য থাকবে।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, জুলাইয়ের ঘটনাকে আমরা কখনই ভুলতে পারি না, বরং সেটাকে আমাদের চেতনায় ধারন করতে হবে। এই আন্দোলন আমাদের চিরস্থায়ী চালিকা শক্তি হিসেবে থাকতে হবে, যেন রাত অন্ধকার থেকে দিনের আলোর স্বপ্নে পা বাড়ানো যায়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদের বিশেষ অতিথির বক্তব্যের পাশাপাশি গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা ও গাংনী উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলূসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে প্রধান অতিথি মনির হায়দার দুই দলের ফুটবল খেলোয়াড়দের সাথে কিশল বিনিময় করেন এবং ফুটবল কিক মারার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

হাজার হাজার নারী-পুরুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন।