ঢাকা | সোমবার | ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মহারাষ্ট্রে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার খবরের পর রাজ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে

ভারতের অন্যতম ধনী ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ মহারাষ্ট্রে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা এবং বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মারাঠি ভাষার অধিকারের জন্য বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছে।

এই ভাষা নিয়ে বিরোধের শুরুটা হয়েছিল এই বছরের এপ্রিল মাসে, যখন মহারাষ্ট্র সরকার ঘোষণা দেয় যে রাজ্যের পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি ও মারাঠির পাশাপাশি তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি শিক্ষা দেয়া হবে। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্ত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) অনুযায়ী নেয়া হয়েছে।

১৯৬৮ সালে চালু হওয়া জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়। সময়ের সাথে সাথে এই নীতিতে সংশোধন আনা হয়েছে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের অধীনে এর সর্বশেষ সংস্করণ প্রায় পাঁচ বছর আগে কার্যকর করা হয়, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যদিও এই নীতি আগেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।

মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজ এই সিদ্ধান্তের দৃঢ় বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, হঠাৎ করে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করে মারাঠি ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর অযথা চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা রাজ্যের ঐতিহাসিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক অহঙ্কারকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

এদিকে এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে ভাষার অধিকারের প্রশ্নে প্রাণানন্ধ প্রতিক্রিয়া ও আলোচনা চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে।