প্রধান উপদেষ্টা মনির হায়দার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো জুলাই অভ্যুত্থান। গত ৫৩ বছরে দেশে এরকম বড় কোনো ঘটনা আর ঘটেনি, এমনকি বিশ্বে খুব কম জায়গায় এমন বড় ঘটনা দেখা গেছে। এই ঘটনায় এমন এক অবস্থা তৈরি হয়েছিল যে, সরকার, মন্ত্রী, এমপি, এমনকি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত সবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
শনিবার বিকেলে গাংনী মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই অভ্যুত্থান ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এর ফাইনাল উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মনির হায়দার এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলো থাকবে, তবে শুধু ফ্যাসিবাদ হওয়ার স্থান থাকবে না। দেশের রাজনীতিতে কখনোই ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না। যদিও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি রাজনৈতিক কারণে নানা তর্ক-বিতর্ক বা বিরোধিতা করবে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ আমাদের শত্রু কারো ব্যক্তিগত নয়, আমাদের একমাত্র শত্রু হলো ফ্যাসিবাদ।
মনির হায়দার আরো উল্লেখ করেন, ফুটবল টুর্নামেন্ট কেবল একটি খেলা নয়, এটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেয়। জুলাই ২৪ আমাদের শিখিয়েছে যে, ২০২৪ এর আগে এবং পরের বাংলাদেশ একে অপরের থেকে যতটা আলাদা, তার তুলনা রাত আর দিনের সমান।
তিনি تاکید করেন, জুলাইয়ের ঘটনা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং এই আন্দোলনকে আমাদের চলার পথ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। রাত ও দিনের মাঝের তফাৎ যেমন পরিষ্কার, তেমনি জুলাই আন্দোলনকে সবসময় স্মরণ রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা, ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু সহ অন্যান্যরা।
পরবর্তী সময়ে প্রধান অতিথি মনির হায়দার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কিক মারার মাধ্যমে ফুটবল খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হাজার হাজার নারী-পুরুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করেন।