ঢাকা | সোমবার | ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে

কোরবানি ঈদের পর বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির সংবাদ। সবজির দামও প্রায় আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চালের বাজারে উল্টোটা দেখা গেছে; চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় মোটা চালের দাম (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে প্রতি কেজিতে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল চালের দাম ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।

পুরান ঢাকার নয়াবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী নিজাম বলেন, ঈদের পর থেকে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও জানান, ধানের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে মিল মালিকরা চালের দাম বাড়ানোর দাবি তুলছেন, যা ভবিষ্যতে চালের দাম আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অলিগলির ছোট মুদি দোকানগুলোতেও চালের দাম কিছুটা বেশি। বংশাল এলাকার মুদি দোকানদার মজিদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের দোকানে চালের বাকি পরিমাণ বেশি থাকে, তাই বেশি তহবিল বিনিয়োগ করতে হয়। এজন্য আমরা কিছুটা বাড়তি দামে চাল বিক্রি করি।’

চালের দাম বেড়ানোয় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা উদ্বেগ দেখা গেলেও, মুরগি, ডিম এবং সবজির দাম কমে মানসিক প্রশান্তি ফিরেছে। মুদি পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য সবজি সকলেই আগের মতো কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ যাবত ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকায় নেমে এসেছে; যেখানে ঈদের আগে দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। ডিমের দামও কমে প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যায়ে এসেছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ঈদের পর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম এবং চাহিদার হ্রাসের কারণে দাম কমেছে।

বাজারের অনেক ক্রেতা মন্তব্য করেন, ঈদের পর অনেক ঘরে এখনও মাংস থাকার কারণে ডিম ও মুরগির চাহিদা কম। তবে তারা আশঙ্কা করছে, কিছুদিন পর চাহিদা বৃদ্ধি পেলে মুরগির দাম আবারও বাড়তে পারে।

পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার ও নয়াবাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যায়ে দেখা গেছে। তবে মাছের বাজারে তেমন পরিবর্তন হয়নি; বড় ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম এখনো তুলনামূলকভাবে বেশি।

সবজির বাজারেও ইতিবাচক সংকেত লক্ষ্য করা গেছে। পুঁইশাক, বেগুন, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গে ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা সবজি প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে থেকে ১০ থেকে ৪০ টাকা কম। বড় বাজারের তুলনায় ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর মূল্য আরও কিছুটা কম।