ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মেহেন্দিগঞ্জে কোটি টাকার সড়ক ধসে পড়ার পর ভরসা বাঁশের সাঁকো

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জনপথের পাশাপাশি বহু বাড়ি, রাস্তা, পুকুর-ঘের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে আলিগঞ্জ-উলানিয়া চার লেন সড়কে, যার নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা। সড়কটির বহু অংশ ভেঙে পড়ায় স্থানীয় মানুষ জরুরি ব্যবস্থায় বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়েছেন, যা এখন এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম।

রবিবার, ২৭ জুলাই, স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের পানির প্রভাবে সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা সড়কটিকে প্রায় সম্পূর্ণ অচল করে দিয়েছে। এতে করে অন্তত ৫ থেকে ৬টি গ্রামের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাটবাজারে যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করতেন।

উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি এবং বিএনপির সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে আপদকালীন ব্যবহারের জন্য কয়েকটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদুল হক মিল্টন চৌধুরী বলেন, “গাইডওয়াল ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভেলায় রাস্তা নির্মাণ করায় কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পটি আজ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আগে গাইডওয়াল নির্মাণ করা উচিত ছিল, তারপর রাস্তা করার নীতিতে কাজ করতে হবে।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, রাস্তা নির্মাণের সময় পরিকল্পনার অভাবে এবং অপরিকল্পিত কাজে জোয়ার পানির প্রভাবেই সড়কটি ভেঙে পড়েছে। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য আকবর চৌধুরী বলেন, “কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা এই প্রকল্পের এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়া গভীর উদ্বেগের বিষয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং বাস্তবায়ান সংস্থা এই ব্যাপারে দায় এড়াতে পারবে না।”

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজুর রহমান জানান, উপজেলা প্রকৌশলীদের জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক পুনঃনির্মাণে কাজ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।