বরগুনার আমতলীতে ৫৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন না পেয়ে অভিমান করে দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির মোল্লা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।幸幸运地 পরিবারের সদস্য়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসকদের তৎপরতায় তার জীবন রক্ষা পায়। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকার অটোরিকশাচালক ওমর ফারুক মোল্লার একমাত্র ছেলে সাব্বির মোল্লা আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। কয়েক দিন ধরে সে বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য অনুনয় করছিল। কিন্তু অটোরিকশা চালনায় প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় তার পক্ষে এত বড় খরচের মোবাইল কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে মোবাইল ফোন না পেয়ে অভিমান করে সাব্বির ১০টি ঘুমের ওষুধ এবং কিছু কীটনাশক পান করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে কাছের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক ডাক্তার লুনা বিনতে হকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলেছে এবং এখন সে সুস্থ অবস্থায় আছে।
সাব্বির মোল্লা সাংবাদিকদের বলেছে, “বাবা মোবাইল ফোন কিনে দেয়নি বলে আমি রাগ করেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি বাবার পক্ষে এত দামি মোবাইল কেনা সম্ভব ছিল না।”
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুনা বিনতে হক জানান, “কীটনাশক পান করা ছাত্রটিকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে সে সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত আছে।”
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।