বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, যারা ১৯৮৬ সালের স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
শনিবার ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন রিজভী। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট, যা দলের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, “বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, জনগণ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই তাদের অধিকার আদায় করেছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধিত্ব ও একটি নির্বাচিত সংসদ রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত রাজনৈতিক বুলিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা করছে। ‘‘যে দল একসময় স্বৈরাচারী শাসকের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’’
এর আগে শুক্রবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান রংপুরে এক সমাবেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তিনি দাবি করেন, “সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে হলে আগে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন।”
রিজভী এই বক্তব্যকে নদী ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রকৃত সমস্যার প্রতি উদাসীনতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘জামায়াত আমির যেন হঠাৎ পরিবেশকর্মীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। যদি তারা সত্যিই পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’’
তিনি আরও জানান, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার এখনই জরুরি। তাই রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা নির্বাচনী সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করে।
সূত্র: ইউএনবি