ঢাকা | শনিবার | ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি ৯৯.১৮ শতাংশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি ৯৯.১৮

শতাংশ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম

চৌধুরী। তৃতীয় টার্মিনালের জন্য জনবল নিরূপণ করতেই মূলত বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন

তিনি।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ

কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের জন্য জনবল নিরূপণ ছাড়াও যারা

বিদেশে যাওয়া-আসা করেন, তাদের কী ধরনের সমস্যা হয়, ইমিগ্রেশনে ঝামেলা হয় কিনা—

এসব দেখার জন্যই আজকের বিমানবন্দর পরিদর্শন।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এলাকাটা খুবই সুন্দর, আধুনিক ও যুগোপযোগী

হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি ৯৯.১৮ শতাংশ হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এটি

উদ্বোধন হবে— সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি ও উন্নত। বিদেশ থেকে

আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে যে ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতো, এটি চালু হয়ে গেলে সে ধরনের

সমস্যা আর হবে না বলে আশা করা যায়।

উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় অনেক সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে লাইভ টেলিকাস্ট

করেছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। লাইভের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ঘটনাটি দেখতে

পেরেছে, সঠিক তথ্য পেয়েছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন

করা হয়েছে, যারা তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে দায়টা আসলে কার। এ কমিটি সমস্ত

বিষয় সবার সামনে তুলে ধরবে।

গোপালগঞ্জে নিহত সব লাশের ময়নাতদন্ত করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন,

নিহতদের স্বজনরা কয়েকজনের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে

চাইলেও স্বজনরা দেননি। তবে কয়েকটি লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যেসব লাশের

ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি, প্রয়োজনে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা

হবে।

উপদেষ্টা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ছাড়াও টার্মিনাল ১ ও ২ পরিদর্শন করেন। তিনি

এ সময় যাত্রীদের খোঁজখবর নেন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানে

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদসহ বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

উপস্থিত ছিলেন।