বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী সাত বছরের একমাত্র ছেলের জন্য মাদ্রাসায় নাস্তা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার মূল ব্যক্তি মিরাজ শরীফ, যিনি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দুবাই থেকে কর্মরত। গত নয় বছর আগে একই বংশের সিরাজ শরীফের মেয়ে শান্তা আক্তার মনির সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছে তার। তাদের দাম্পত্য জীবনে আয়ান ইসলাম নামে সাত বছরের এক ছেলেও রয়েছে।
মিরাজ জানান, চলতি বছরের ৯ জুন তিনি ছুটিতে বাড়ি এসে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারেন, মোবাইল ফোনের পরিচয় থেকে তার স্ত্রী শান্তা ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলামের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরপর থেকে শান্তা কুয়াকাটা ও বরিশালে একাধিক বার রাত কাটিয়েছে আরিফুলের সঙ্গে। এই বিষয়টি স্বীকার করেও শান্তা উভয় পরিবারের সদস্যদের সামনে লিখিত মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন এ ধরনের ভুল আর করবেন না। এরপর কিছুদিন সংসার শান্তিপূর্ণ ছিল।
তবে গত ৭ আগস্ট শম্ভবীরী বায়ান্ন মাদ্রাসায় পড়ানো একমাত্র সন্তানকে সকালের নাস্তা দিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে শান্তা বাড়িতে ফিরেনি। পরিবারের খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। ওইদিন দুপুরে শান্তা তার পিতাকে ফোন করে জানান যে, তিনি মুন্সীগঞ্জের আরিফুলের কাছে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা যাবে না।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালালে ঘর থেকে চার ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ebenfalls মিসিং পাওয়া গেছে। মিরাজ শরীফ এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন উদ্বিগ্ন ও আলোচনা করছেন, যেখানে পরিবারিক ভাঙ্গন ও সামাজিক কলহের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।