জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এবার মিষ্টি আলুর bumper ফলনে কৃষকের মুখে এসেছে আনন্দের হাসি। আবহাওয়ার সহায়তায় এবং বাজারমূল্যের ভালো থাকায় স্থানীয় কৃষকরা আলু তোলায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সরিষাবাড়ীর চরাঞ্চলের ধারাবর্ষা, বড়বাড়ীয়া, কৈজুরী, কান্দারপাড়া, সৈয়দপুর, বয়সিংহ, ভাটারা, মোহনগঞ্জসহ আরও নানান এলাকায় কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করছেন।
ক্ষেতগুলো সবুজ পাতায় ছেয়ে থাকে এবং কৃষকরা মাটি আগলাচ্ছেন, নারী ও শিশুরা আলু সংগ্রহ করে ওজন করে বস্তাবন্দী করছেন। কেউ আবার মিষ্টি আলুর লতা গবাদিপশুর খাবারের জন্য সংগ্রহ করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন যে, উপশী হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলু মাত্র ৯০ দিনে সতেজ ফলন দেয়। ঢাকার বাজারে মিষ্টি আলুর চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় পাইকাররা প্রতি মণ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছেন। অনেক সময় পাইকাররা মাঠ থেকে সরাসরি আলু সংগ্রহ করেন এবং তা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।
মিষ্টি আলু চাষি আব্দুল মোতালেব জানান, নদীর ধারের পতিত জমিতে প্রায় এক একর জায়গায় তিনি মিষ্টি আলু চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে অর্ধশত মণের বেশি ফলন তুলে অনেক লাভবান হয়েছেন। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, তবে লাভ অনেক বেশি হয়েছে এবং এতোটা লাভ অন্য কোনো ফসল থেকে পাওয়া সম্ভব না।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, সরিষাবাড়ীতে এ বছর মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮০ হেক্টর, কিন্তু ৬৭৫ হেক্টরে চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫ হেক্টর বেশি। কম খরচ ও বেশি লাভজনক হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।