গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের আগে তাকে একটি ছদ্মনামী নারী, পারুল আক্তার (গোলাপী) ব্যবহার করে হ্যানিট্র্যাপ করা হয়েছিল। শনিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
পুলিশ কমিশনারের বর্ণনায়, একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে বাদশা নামে এক ব্যক্তি ২৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা গোলাপীর মাধ্যমে তাকে বিরক্ত করে। বাদশা পরবর্তীতে ওই নারীকেও কিল-ঘুষি মারেন। এর পরবর্তী সময়ে গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপাতে থাকে এবং তাকে ধাওয়া করে।
সাংবাদিক তুহিন ঐ সময় ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন এবং সন্ত্রাসীরা ভিডিও ধরা দেখে তাকে ভিডিও মুছে ফেলতে চাপ দেয়। তুহিন ভিডিও মুছে না ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নেন, কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাকে সেখানে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে ছয়জনকে পুলিশ এবং এক জনকে র্যাব-১ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ কমিশনার জানান, কিছুটা ভুলত্রুটি থাকলেও ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আটজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।
গ্রেফতার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিশেষ করে কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে।
ড. নাজমুল করিম খান আরও বলেন, গাজীপুর মহানগরীর পুলিশ বাহিনী প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিস্থিতি আরও ভালো করতে পুলিশের প্রতি জনগণের সহযোগিতা জরুরি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদ হোসেন ভূইয়া, মো. রবিউল হাসান, এস এম আশরাফুল আলম এবং এস এম শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।