ঢাকা | সোমবার | ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সারাদেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের ৬ দফা দাবির প্রতি জোর দিয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সারাদেশে স্বাস্থ্য সহকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের মূল দাবি হলো নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য ১১ তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণবিহীন স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ, বেতন স্কেল উন্নয়ন ও পুনর্নির্ধারণের আগে প্রাপ্ত টাইম স্কেল এবং উচ্চতর গ্রেডগুলি নতুন বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করার দাবি, এবং পূর্বের ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নদের ডিপ্লোমাধারী সমমান হিসেবে গণ্য করা।

সারা দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নীলফামারী, নেত্রকোণা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহেও স্বাস্থ্য সহকারীরা বিক্ষোভে অংশ নেন এবং তাদের দাবি প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে কাজ করলেও স্বাস্থ্য সহকারীরা যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। আন্দোলনে তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।

অন্যান্য অঞ্চলের স্বাস্থ্য সহকারীরা বলেন, তারা দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, বিশেষ করে টিকা প্রদানে। এর বিপরীতে তারা সরকারি চাকরিতে অনেক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া, তারা জানায় যে, তাদের অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রকৃত বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে ছয় দফা দাবি সফল করার জন্য একাত্মতা এবং দৃঢ়তার সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত দাবিগুলো মেনে নিয়ে এই প্রান্তিক স্বাস্থ্য কর্মীদের ন্যায্য মর্যাদা নিশ্চিত করবে এবং দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করবে।