ঢাকা | শুক্রবার | ১লা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সিজিএসের প্রতিবেদনে জুনে শনাক্ত ৩২৪টি মিথ্যা তথ্য

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ২০২৫ সালের জুন মাসে মোট ৩২৪টি যাচাইকৃত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ঘটনা শনাক্ত করেছে। এই প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিজিএস এই তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক ভুয়া তথ্যের সংখ্যাই সর্বাধিক, যা ২৫৩টি। এটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে জনমত প্রভাবিত করার স্পষ্ট প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তাছাড়া বিনোদন খাতের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ঘটনা ছিল ২৪টি, ধর্মীয় বিষয়ক ১৯টি, অনলাইন হোক্স ১৮টি, কূটনৈতিক ৫টি, অর্থনৈতিক ৪টি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত ১টি ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্যের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা, যার মধ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতা মিলিয়ে মোট ১২৪টি ঘটনা রয়েছে। প্রত্যেক দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৪৮টি, সেলিব্রিটি ২৫টি, ধর্মীয় সম্প্রদায় ১৬টি, রাজনৈতিক দল ১৩টি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ১৬টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৬টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২টি এবং ধর্মীয় ব্যক্তিকেন্দ্রিক ১টি ঘটনা।

তবে ৭৩টি ঘটনা অনির্দিষ্ট হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে, যেখানে মিথ্যা তথ্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, সামাজিক মাধ্যম বর্তমানে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ৩২৪টি ঘটনার মধ্যে ৩১৬টি ঘটেছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, থ্রেডস এবং এক্স (টুইটার)সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে, এবং মাত্র ৮টি ঘটেছে অনলাইন নিউজ পোর্টালে।

এই তথ্যগুলো বর্তমান সময়ে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের গুরুত্ব কতটা বাড়িয়েছে তা তুলে ধরে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।