জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নবগঠিত আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ) তাদের কার্যক্রম শুরুর মাত্র সাত মাসে প্রায় ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য সনাক্ত করে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এই ইউনিট ১৮৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং এর মধ্য দিয়ে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, এই কর ফাঁকির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। উদ্ধারকৃত অর্থের মধ্যে ৬৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে এবং তা সরাসরি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট তার গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ ও রাজস্ব পুনরুদ্ধারে সদা নিয়োজিত রয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব সাময়িক জব্দ করাও তাদের অঙ্গিকার। ইউনিটটি করদাতাদের সঠিক কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
ইনকাম ট্যাক্স গোয়েন্দা ইউনিট বলেছে, যেকোনো ধরনের কর ফাঁকি এবং বেনামি সম্পদের অবৈধ প্রকৃতির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তারা কর পরিশোধে সততা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের যাত্রা বাংলাদেশের রাজস্ব সেক্টরে নৈতিক ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা শুধু রাজস্ব পুনরুদ্ধারই করছে না, বরং করদাতাদের কর পরিশোধে উৎসাহিত করাসহ সামগ্রিক কর সংস্কৃতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশ্বাস করে, কর আদায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈষম্য কমানো সম্ভব। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি নির্ভরতা ও দক্ষ মানবসম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।