ঢাকা | বুধবার | ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

১৭ বছরের ইয়ামালের ৩০ বছরের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা

বয়সে ছোট হলেও সম্পর্ককে ঘিরে বড় ধরনের সমালোচনা ও বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন স্পেনের তরুণ ফুটবলার লামিন ইয়ামাল। মাত্র ১৭ বছর বয়সী লামিনের প্রেমের অঙ্কনে বর্তমানে ৩০ বছর বয়সী ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার ফাতি ভাস্কেসের সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে যে সম্পর্কটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বার্সেলোনার এই তারকাকে মেসেজ করে নানা ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে, কেউ তাকে বেপরোয়া থাকার অভিযোগ দিচ্ছেন, কেউ আবার তার ক্যারিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে যে, ফাতিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুধু অপমানজনক মেসেজ নয়, বরং হত্যার হুমকিও পেয়েছেন।

এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় লামিনের কয়েকটি ছুটির ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর। ইতালির হেলিকপ্টার, রিসোর্ট, সুইমিং পুল এবং বোট ভ্রমণের ছবি পোস্ট করলেন লামিন। ঠিক একই সময়ে ওই একই জায়গার ছবি ফাতিও প্রকাশ করলেন, যার ফলে গুঞ্জন আরও বাড়লো। স্পেনের বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ফাতির সঙ্গে লামিন ওই ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তিনি ৩০ বছর বয়সী এবং এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা- কল্পনা। কেউ কেউ রোনালদিনহো, নেইমারের মত তারকারা যেমন বড় বয়সের সঙ্গী নিয়ে সম্পর্ক রেখেছিলেন, তেমন উদাহরণ টেনে ইয়ামালকেও মিলিয়েছেন। আবার অনেকে উদ্বিগ্ন ফুটবলারটিকে হারানোর ভয় পোষণ করছেন। তবে এখনো পর্যন্ত এই গুজবের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।

ইয়ামাল দাবি করেছেন, তিনি একা সেখানে যাননি, স্পেন দলের অন্যান্য সতীর্থরাও তার সঙ্গে ছিলেন। তবে তার পোস্ট করা ছবিতে অন্য কোনও সতীর্থ দেখা যায়নি। একটি ছবি ডাইনিং টেবিলের, যেখানে তিনি লিখেছেন, “আমার বোন দারুণ রান্না করেছেন।” মিডিয়ার একাংশ এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়।

একজন সাংবাদিক, জাভি ডে হাওস, ইয়ামালের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। ইয়ামাল জানালেন, ঘটনা সত্য, তবে তাদের মধ্যে কোনও রোমান্টিক সম্পর্ক নেই। ফাতি তার সঙ্গে গিয়েছিলেন না, তারা ইতালিতেই দেখা করেছিলেন।

অপরদিকে ফাতি ভাস্কেস এখনও পর্যন্ত ওয়াটার বোট বা একই স্থানে তুলা ছবি বা গুঞ্জনগুলো সম্পর্কে কিছু বলেননি। ৩০ বছরের এই ইনফ্লুয়েন্সার তার এবং ইয়ামালের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি কথা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে, তার জীবনে এমন কিছু হয়েছে যার জন্য তিনি হত্যার হুমকিও পেয়েছেন। ফাতি লিখেছেন, “কامي মানুষ কতটা অজ্ঞান হতে পারে যে, তিনি কারও মৃত্যুর কামনা করবেন অথচ অপরাধের তথ্য টুকুও জানবেন না।” তিনি এই প্রসঙ্গে ইয়ামালের কোনো মন্তব্য করেননি।

এই বিতর্ক চলাকালীন ইয়ামাল ইতালি থেকে ফিরে ব্রাজিলে চলে গিয়েছেন। সেখানে তিনি সাফারি ও সার্ফিং করছেন বলে একটি ছবিও সামাজিক মাধ্যমেই শেয়ার করেছেন। গত বছর স্পেন ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় লামিনকে তার প্রাক্তন টিকটক তারকা বান্ধবী আলেক্স পাদিয়ার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সেই সম্পর্কের সমাপ্তির পরই হয়তো ফাতির সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন সামনে এসেছে, যা এখনো স্পষ্ট নয়।

বয়সের ফারাক থাকা সত্ত্বেও ইয়ামালের প্রেম ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা সমাধানের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ ও ফুটবলপ্রেমীরা সকলেই আছেন।