ঢাকা | সোমবার | ১১ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে সাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২ মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৬

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৮ জেলের মধ্যে দুজনের

মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পতেঙ্গা ১৮ নম্বর

ঘাট এলাকা থেকে স্থানীয়রা ভাসমান দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতদের নাম আবুল কালাম

ও ইদ্রিস।

নিহত আবুল কালামের স্বজন মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘আজ সাড়ে ৫টার দিকে লাশ দুটি ভেসে

এসেছে। তার সহকর্মীরা দেখে সনাক্ত করেছেন এ মরদেহ দুটি আবুল কালাম ও ইদ্রিসের।’

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ-পুলিশের ওসি আরিফ জানান, ‘পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি

মরদেহ ভেসে আসার খবর পেয়েছি। আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং পরিস্থিতি যাচাই

করছে।

গত বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ফিশিং বোটের ধাক্কায়

ট্রলারটি ডুবে যায়। ওইদিন সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে

‘আনিকা’ নামের ট্রলারটি মাছ ধরতে যাত্রা করে।

বেলা ১২টার পর গভীর সাগরের দিকে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি জাহাজের ধাক্কায়

ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় একটি নৌকায় ১১ জন বেঁচে ফিরলেও ৮ জন নিখোঁজ হন।

নিখোঁজরা সবাই নোয়াখালীর বাসিন্দা। তাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে—আবুল

বাশার, জামাল উদ্দিন, মো. ফারুক ও মো. ইদ্রিস।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব বলেন,

‘ট্রলারের মালিক শুক্রবার আমাদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু

করেছি। নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের ইউনিট ও নৌবাহিনী কাজ করছে।’

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ মিরাজ জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ফিশারিঘাট থেকে ট্রলারটি

গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাত্রা করেছিল। দুপুরের দিকে একটি নৌযানের ধাক্কায় ট্রলারটি

ডুবে যায়। আমরা দ্রুত অন্য একটি বড় নৌকা নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’

নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছে, উদ্ধার

কাজে তারা সমুদ্রে অংশগ্রহণ করছেন, তবে এখনো ৬ জনের কোনো সন্ধান মেলেনি।