ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানের পতনে বিশ্বকাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা

গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক জয়ের পর আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে উঠেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু পাকিস্তানের দলকে হারানো সিরিজ হারে টাইগার ক্রিকেটারদের জন্য এখন বিশ্বকাপের ব্যাপারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে পাকিস্তানকে ৯২ রানে পরাজিত করে ২০২ রানের বিশাল জয় নিয়েই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর এই সিরিজ জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের র‌্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে নেমে এসেছে। এই র‌্যাঙ্কিং পতনের কারণে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিয়ে টাইগারদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

২০২৭ সালের বিশ্বকাপে মোট ১৪টি দল অংশ নেবে। র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল এবং আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকার ফলে সাত থাকলেও, বাংলাদেশ ৯ নম্বরে থাকলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারত। তবে বর্তমানে তাদের অবস্থান ১০ নম্বরে নেমে যাওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ।

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে হলে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশের সামনে মোট ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি ম্যাচ তাঁদের থেকে নীচের অবস্থানে থাকা দলের বিপক্ষে। এই সব ম্যাচগুলো জিতলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে খুব বড় উন্নতি হবে না, কিন্তু হারলে তা বড় ক্ষতি স্বরূপ হবে।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ওয়ানডে পারফরম্যান্স ধারাবাহিক ছিল না। তামিম ইকবালের অধীনে দুই বছর আগে ৩৫ ম্যাচে ২১ জয় পেয়েছিল দলটি, কিন্তু পরবর্তী সময়ে শেষ দুই বছরে ৩৪ ম্যাচে মাত্র ৯টি জয় নিয়েই সীমাবদ্ধ আছে।

নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সামনে তাই এক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে—দলকে আবারও প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে নিয়ে আসা। তা না হলে বিশ্বকাপ খেলতে হলে বাংলাদেশকে বাছাইপর্বে নামতে হবে, যা নিশ্চিতভাবেই দলটির জন্য কঠিন সময় হবে।