ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সোমবার আর্মেনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি সেখানে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত করিডোর ব্যবহার করে আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন ওই ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্তির ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। এই করিডোরটি মার্কিন মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং ইরান সীমান্তের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রওনা হওয়ার আগে টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেছিলেন, এই অঞ্চলে মার্কিন কোম্পানির উপস্থিতি উদ্বেগজনক। তিনি আর্মেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ের উপর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করবেন। এই স্থল করিডোরের নাম ‘ট্রান্স ককেশাস ট্রুপ’ বা ট্রাম্প রুট, যা চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি অংশ। এই চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই রুটের উন্নয়ন অধিকার লাভ করবে, যা আজারবাইজানের নাখচিভান অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে এবং ইরানের সীমান্তের কাছ দিয়ে যাবে। তবে ইরান দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিকল্পিত করিডোরের বিরোধিতা করে আসছে। একে জাঙ্গেজুর করিডোরও বলা হয়। তেহরানের উদ্বেগ, এই রুট ইরানকে আর্মেনিয়া ও ককেশাসের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, এতে বাইরে থেকে হিংস্র বাহিনী ইরানের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিতে পারে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ইরানের কর্মকর্তারা আর্মেনিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন In তারা বলছেন, এই প্রকল্পটি ককেশাস অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্যের ষড়যন্ত্র হতে পারে। রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিয়ান এই করিডোরকে ‘সংবেদনশীল’ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তেহরানের মূল উদ্বেগ মানব, এর ফলে এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, আর্মেনীয় কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই রুটের জোড়ে কোনো মার্কিন সেনা বা নিরাপত্তা কোম্পানি আর্মেনিয়ায় অাকবে না। চলতি মাসের প্রথম দিকে ইরানের最高 নেতা এক উপদেষ্টা জানায়, তেহরান এই করিডোর গড়ে উঠতে দেবে না এবং সতর্ক করে দেন যে, এই এলাকা ‘ট্রাম্পের ভাড়াটে সেনাদের কবরস্থানে পরিণত হবে।’
