বার্সেলোনার তরুণ তারকা ফুটবলারের ব্যক্তিজীবনে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা চর্চা ও বিতর্ক। মাত্র ১৭ বছর বয়সী লামিন ইয়ামালের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন তোলপাড় সৃষ্টি করেছে, কারণ তার প্রেমিক অভিনেত্রী ও ইনফ্লুয়েন্সার ফাতি ভাস্কেসের বয়স ৩০ পেরিয়েছে।
সমাজের কিছু অংশ এই অস্বাভাবিক বয়সের ফারাক নিয়ে সমালোচনা করছে এবং ইয়ামালকে ‘বেপরোয়া’ বলেও অভিহিত করছে। সামাজিক মাধ্যমে তাকে নানা ধরনের অসভ্য মেসেজ করা হচ্ছে, যা তাকে বিপাকে ফেলেছে। অন্যদিকে, ফাতিও নানা ধরনের হুমকি প্রাপ্ত হচ্ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ইয়ামাল ও ফাতির একই সময়ে ইতালির বিভিন্ন স্থানের হেলিকপ্টার, রিসোর্ট, সুইমিং পুল এবং বোটের ছবি প্রকাশ পায়। স্পেনের গণমাধ্যম রিপোর্ট করে যে, সাংস্কৃতিক ইনফ্লুয়েন্সার ফাতির সঙ্গে ইয়ামাল শীঘ্রই ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই বয়সের ব্যবধানই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তাকে মেসি, রোনালদিনহো কিংবা নেইমারের মতো তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে তুলনা করে ট্যালেন্ট হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
ইয়ামাল জানিয়েছেন, তিনি একা সফরে যাননি, তার স্পেন জাতীয় দলের একাধিক সহকর্মীও ছিলেন সঙ্গে। কিন্তু তাকে ঘিরে যা চর্চা হচ্ছে, তা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছে মিডিয়ার একাংশ। একজন সাংবাদিক জাভি ডে হাওসের কাছে সত্যতা জানতে চাইলে ইয়ামাল বলেন, ‘‘ঘটনা সত্যি, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো রোম্যান্টিক সম্পর্ক নেই।’’ তিনি আরও জানান, ফাতি ইতালিতে গিয়েই তাদের দেখা হয়।
ফাতি ভাস্কেস বিশেষ করে তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে সমাজমাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকির কথা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ কতটা অজ্ঞ তাই যেন মেনে নিতে পারে, যে কেউ অন্যের মৃত্যু কামনা করে, অথচ তার অপরাধ জানে না।’’ তবে ইয়ামালের ব্যাপারে কোন আলোচনা করেননি তিনি।
এই গুঞ্জনের মাঝেই ইয়ামাল ইতালি ছেড়ে ব্রাজিল ফিরেছেন। তিনি সেখানেই সर्फিং করছেন, যা তার সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে। গত বছর স্পেনের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয় উদযাপনের সময় ইয়ামালকে দেখা গিয়েছিল স্পেনের টিকটক তারকা আলেক্স পাদিয়ার সঙ্গে, যার পর সম্পর্ক ভেঙে যায়। মনে করা হচ্ছে, তার পরই ৩০ বছরের ফাতির সঙ্গে ইয়ামালের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এই গুঞ্জন এখনো অবধি নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা জন্মিয়েছে।