ঢাকা | মঙ্গলবার | ২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পার্টটাইম ফুটবলারদের সামনে বায়ার্নের গোল উৎসব

রোববার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ এবং ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন অকল্যান্ড সিটি। ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফুটবলাররা ঝড়ে দেন গোলের বন্যা। সাচা বোয়ে, মাইকেল ওলিস মুসিয়ালা এবং থমাস মুলার মিলিয়ে অকল্যান্ড সিটির জালে অসংখ্য গোল করেন। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারিকেইনের বদলি হিসেবে নামা ২২ বছর বয়সী কামাল মুসিয়ালা হ্যাটট্রিক করেন, যা দর্শকদের মন জয় করে নেয়।

ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে বড় একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন থমাস মুলার, যিনি ২৫০তম গোলটি করেন। পুরো খেলার সময় তারা ১৭টি শর্ট নেয় গোলবারের দিকে। অপরদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি মাত্র একবার গোলবারে শট রাখতে সক্ষম হয়, সেটিও নির Brug পর্যন্ত থামিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার।

এই গোল উৎসবের মাধ্যমে ইউরোপীয় ফুটবল এবং ওশেনিয়ার ফুটবলের মানে যে ফারাক রয়েছে, তা দর্শকদের সামনে স্পষ্ট হয়। ক্লাব বিশ্বকাপে এটি প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে এত গোলের অর্জন। যদিও এর আগেও বায়ার্ন মিউনিখ একাধিক বার দুই অঙ্কের গোল করেছে, যেমন ১৯৭১ সালে বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ১১-১, ২০২১ সালে আঞ্চলিক লীগের ব্রেমার এসভির বিরুদ্ধে ১২-০ এবং সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ডিএফবি কাপে ডিজেকে ওয়াল্ডবার্গের বিপক্ষে ১৬-১।

এই ম্যাচের এক বিশেষ দিক ছিল, অকল্যান্ড সিটির অধিকাংশ খেলোয়াড়ই পার্টটাইম ফুটবলার। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন বিমা কর্মী, একজন নার্স, একজন কোকা-কোলা বিক্রয় প্রতিনিধি, একজন গাড়ি বিক্রেতা এবং বেশ কয়েক জন ছাত্র। পেশাদার ফুটবলারের বিপরীত একটি টিমকে সামনে রেখে বায়ার্নের এমন গোল উৎসব ফুটবলের মজার এক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।