নিবন্ধনের শেষ দিনে, রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত দুই ডজনের বেশি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নিজ হাতে নির্বাচন ভবনে এসে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজি আন্দোলন, বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণ বিপ্লবী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশন, জনতার দল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিএনপি), জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিডিপি) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।
জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি) তাদের দলীয় প্রতীকে ‘হাতি’ চেয়ে আবেদন করেছে। জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। বর্তমানে যেসব নিয়ম রয়েছে তা যথেষ্ট জটিল। যদিও নির্বাচন সংস্কার কমিশন এই নিয়ম বদলের সুপারিশ করেছে, তবুও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এই অবস্থায় আমরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেছি এবং নিবন্ধনের জন্য আশা রাখছি।’ তিনি আরও জানান, দলটি নির্বাচন সংস্কারের পক্ষে এবং ভবিষ্যতে আইন পরিবর্তনে কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
অন্যদিকে, জনতার দল দলীয় প্রতীকে ‘চাবি’ চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছে। দলটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল এবং সদস্যসচিব আজম খান প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচন ভবনে এসে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। শামীম কামাল একদিকে বলেন, ‘আমরা নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করেছি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছি। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের।’
বিকেলে দেশটির অন্যান্য রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের আবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে এবং প্রাথমিক সময়সীমা ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করেছিল। এরপর আবেদন জমা দেয় ৬৫টি দল। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশ ১৯৭২-এর ধারা ৯০(ক) অনুযায়ী নতুন রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধিত হয়, যা তাদেরকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।