ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে রেজোয়েন রাব্বি তামিম (২১) ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ
(২১) নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৫ জুন) বিকালে পদ্মা নদীর ফরিদপুর জেলার ধলার মোড় পালডাঙ্গি এলাকায়
বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা দুজনই ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ত্রিপল-ই)
বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থী রেজোয়েন রাব্বি তামিম গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্য
আশুলাই গ্রামের শওকত হোসেনের ছেলে ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ নোয়াখালী জেলার সুধারাম
থানার উত্তর শরীফপুর গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে। তারা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ফরিদপুর
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ত্রিপল-ই) বিভাগে ভর্তি হয়েছিল।
স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী রেজোয়ান রাব্বি তামিম ও আব্দুল্লাহ আল মারুফসহ
কয়েকজন বন্ধুরা মিলে পদ্মা নদীর ফরিদপুরের ধলার মোড়ের পালডাঙ্গি এলাকায় গোসলে নামে।
গোসলে নামার কিছুক্ষণ পরেই স্রোতের বাকে পড়ে তারা দুইজন তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার
সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর সিএন্ডবিঘাট এলাকার রেজওয়ান
মোল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা
করেন।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার নেছার মাহমুদ জানান, পানিতে দুই
শিক্ষার্থীর ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের উদ্ধার করে
পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ত্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, ওরা ৬-৭
জন বন্ধু মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিল। এ সময় মারুফ ও আরেকজন ভেসে যায়।
তাদের বাঁচাতে তামীম নদীতে ঝাপ দিলে মারুফ ও সে (তামীম) স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়।
তাদের লাশ ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী দুলাল হোসেন বলেন, আজ তাদের পরীক্ষা ছিল।
কিন্তু তারা জেদ করে যে পরীক্ষা দিবে না। পরে কয়েকজন মিলে কলেজের মাঠে খেলাধুলা
শেষে দুপুরে গোসল করতে পদ্মা নদীতে যায়।
জানতে চাইলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান বলেন,
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আসার পর তাদের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে
আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।