ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

এনবিআর কর্মীদের কর্মস্থলে প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব, না ফিরলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মীদের অনুপস্থিতি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আয় ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, যা সরকার সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান বাধা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। দেশের প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার পেছনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতা অন্যতম কারণ। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন অংশীদারদের পরামর্শ অনুযায়ী এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, গত দুই মাস ধরে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আন্দোলনের নামে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অবৈধ ও অনৈতিকভাবে বাধা সৃষ্টি করছে, যা অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের অর্থনীতির বড় ক্ষতি করছে। অর্থ বছরের শেষ দুই মাসে রাজস্ব আদায়ে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা সার্বিক অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী এবং পরিকল্পিত একটি দুর্ভিসন্ধিমূলক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সরকার দাবি বিবেচনার জন্য স্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছিল কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাওয়া সত্ত্বেও এখনও অনমনীয় অবস্থান অবলম্বন করে দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে, দেশের রপ্তানি-আমদানি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের স্বার্থ রক্ষায় সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনস্ত সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ চাকরিগুলোকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার আশা প্রকাশ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে এসে আইনবিরুদ্ধ এবং দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।