ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পরে বিএনপি আশা করছে নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করার কাছে প্রবল প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হবে।”

বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ আশা করে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমরা তা আশা করি।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সিইসি নাসির উদ্দীন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী আরও জানান, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনা দেশের উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হয়ে উঠেছে এবং এটি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে যে, অধ্যাপক ইউনূস এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে কাজ করবেন।

বিএনপির এই নেতা আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন, যাতে দেশের জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিজভী বলেন, “আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মব ক্যালচার বিরাজ করছে, যেখান থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। গণতন্ত্র নিশ্চিত করাই প্রধান কর্মসূচি হওয়া দরকার। গত বছর দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২ শতাংশ, যদিও এবার সেটা ৩.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা সরকারকে এই বিষয়টি দেখতে বলব। অবশ্যই আমরা সমালোচনা করবো, তবে নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে প্রকৃতির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “পূর্বের অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থের অপব্যবহার করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং মিডিয়াও অন্যতম। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণের বিশ্বাস যে, অধ্যাপক ইউনূস দেশের মানুষের প্রত্যাশা মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।”