ঢাকা | সোমবার | ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আইডিই বাংলাদেশ প্রকাশ করল প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ২০২৫-২০৩০

ঢাকা, ২৯ জুন ২০২৫ – অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাজারভিত্তিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আইডিই বাংলাদেশ ঢাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত “Catalyzing Markets: iDE Bangladesh Private Sector Engagement Summit 2025”-এ তাদের প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ২০২৫ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করলো।

সামিটে সরকারি প্রতিনিধিদল, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন অংশীদার এবং দেশের শীর্ষ বেসরকারি খাতের ২০০ এর বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এসিআই, এসএমসি, লাল তীর সিড লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, রহিম আফরোজ, ইসপাহানি এগ্রো, ব্র্যাক, গ্রামীণ ড্যানন ফুডস লিমিটেডসহ বহু প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক, এফসিডিও, ইউনিসেফ, জিআইজেড, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালীয় ও ডেনিশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে সামিটের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।

অনুষ্ঠানে ১৪টি প্রাইভেট সেক্টর প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয় এবং একটি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়, যেখানে কৃষি, ওয়াশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পুষ্টি ও ফিনটেক খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান তুলে ধরা হয়।

প্রধান অতিথি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান, তার বক্তব্যে বলেন, “আইডিইর এই স্ট্র্যাটেজি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং দূরদর্শী একটি উদ্যোগ, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কার্যকর একটি কাঠামো নিশ্চিত করবে।”

সামিটে উপস্থিত অন্যতম বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফাইন্যান্স পরিচালক উজমা চৌধুরী, এসএমসির অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মোহিউদ্দিন আহমেদ, এনআরবিসি ব্যাংকের সিনিয়র ইভিপি কাজি মো. সাফায়েত কবির, দি মেটাল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাদিদ জামিল, এবং রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের সিইও নিতাই পদ সাহা।

আইডিই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সামীর কার্কি বলেন, “এই স্ট্র্যাটেজি কেবল একটি নীতি-নির্ধারণী দলিল নয়; এটি একটি সমন্বিত ভিশন, যেখানে ব্যবসা ও উন্নয়ন একসাথে কাজ করে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান তৈরির মাধ্যমে সকলের জন্য কার্যকর বাজার প্রতিষ্ঠিত করে।”

নতুন এই কৌশলগত রোডম্যাপটি আইডিইর চার দশকের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রস্তুত, যার লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বৃহৎ কর্পোরেশন পর্যন্ত সবাইকে একত্রিত করে উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজারব্যবস্থা গড়া।