অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং দেশীয় জ্বালানি সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় এক সক্রিয় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাহেবনগর, ভাদুয়াপাড়া ও কাকিয়ারচর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান, যিনি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিএল)-এর সঙ্ঘটনে ৩টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অভিযানে প্রায় আধা কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়, পাশাপাশি ৫৩টি অবৈধ গ্যাস রাইজার এবং ২২টি অবৈধ গ্যাসচালিত চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অন্যদিকে, গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে জোবিআই-টঙ্গী এবং আবিবি-জয়দেবপুরের যৌথ একটি দল অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে টঙ্গীর শিলমুন হাইস্কুল রোডের এস.এম.ফ্যাশন, মিরাশপাড়ার নদী বন্দর রোডের মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং এবং দত্তপাড়া জহির মার্কেটের মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ এই তিনটি স্থান পরিদর্শন করা হয়। তবে এ জায়গাগুলোতে গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো অবৈধতা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, আগের অভিযানসমূহের কারণে ওই এলাকায় অবৈধ সংযোগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুল ইসলাম বাসসকে জানিয়েছেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট অভিযান নিয়মিতভাবে আরও তৎপরভাবে পরিচালনা করা হবে। তিনি সবাইকে বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ এবং এর সঠিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। নাগরিক এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি খাতে বিদ্যমান আইন-কানুন মেনে চলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করেন তিনি।