ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের পাট চাষের জন্য নির্ধারিত জমির আকার হবে ৭.০৫ লাখ হেক্টর। এই পরিমাণ জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টন পাট বীজের প্রয়োজন হবে।

সোমবার বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) কৃষি উইংয়ের আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা’ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বক্তারা জানান, বর্তমানে দেশে পাটের মোট উৎপাদন ১৫ লাখ মেট্রিক টন, পাটকাঠির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন এবং চারকোলের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টনে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, “পাট নিয়ে এখনও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পাটের সম্ভাবনা কখনোই শেষ হবে না। আমাদের উচিত কাঁচা পাট নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো কীভাবে কাজ করছে তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মার্কেট রিসার্চ করা।”

তিনি আরও যোগ করেন, “সুদীর্ঘ চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে বিজ্ঞানীদের বিস্তারিতভাবে গবেষণা চালাতে হবে। কারণ সীমিত জমিতেও কীভাবে পাট উৎপাদন বাড়ানো যায়, সেটিও নিয়ে কাজ করা জরুরি। মার্কেট ও বাস্তবতা বিবেচনা করে গবেষণা করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ডঃ নার্গীস আক্তার বলেন, “পাট কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চাষিরা কৃষিঋণের মত পাটঋণ পেয়ে থাকে এবং পণ্য রপ্তানিতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হচ্ছে। সরকার থেকে চারকোল রপ্তানিকারকদের ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০টি চারকোল কারখানা রয়েছে, কিছু কারখানা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।”

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।

সাতক্ষীরা আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইয়ের প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম মোস্তফা, জিনোম গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. এস এম মাহবুব আলী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল আমিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক মো. মসীহুর রহমান, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক মো. সাইফুল আজম খান এবং বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।

এই কর্মশালা পাট খাতে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে গভীর আলোচনা এবং গবেষণার মানোন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।