ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ডেঙ্গু মোকাবেলায় এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আজ শনিবার (০৫ জুলাই) সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন ডিএসসিসি অঞ্চল-০৪-এ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে ডিএসসিসির মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ছয়টায় শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযান কার্যক্রমে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় সোসাইটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আওতায় অঞ্চল-০৪-এ অন্তর্ভুক্ত ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ এবং ৪৩ নং ওয়ার্ডের ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাত থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে একটি র‌্যালিও অনুষ্ঠিত হয়, যা অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রামের সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ছাড়া জনবহুল ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্ভব নয়। যদি আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখি এবং সচেতন হই, তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।” তিনি জানান, সরকার ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫’ প্রণয়ন করছে, যা সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদের দায়িত্ব স্পষ্ট করবে।

ডিএসসিসির প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া জানান, “এই ধরনের পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের চতুর্থ পর্ব। এর মূল লক্ষ্য স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি।” তিনি আরও জানান, নিয়মিত কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। প্রতি ফগার মেশিনে ব্যবহৃত কীটনাশকের পরিমাণ ৩০ লিটার থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৬০ লিটারে উন্নীত করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মশার ঔষধ সঠিকভাবে ছিটানো নিশ্চিত করতে বিশেষ অঞ্চলে তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এই কার্যক্রমে সকলের ঐক্যবদ্ধ কাজই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফলতার মূল চাবিকাঠি হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।