জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত জোরপূর্বক চাপিয়ে দিচ্ছে না। বরং, রাজনৈতিক দলগুলোর অনুভূতি এবং বক্তব্য বিবেচনা করে সংশোধনী প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা—ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রিয়াজ জানান, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল নিয়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন আপত্তি থাকায় কমিশন ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে কমিশন সর্বদা সতর্ক। এর ফলে অনেক বিষয় বাদ দিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা চলছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। দ্রুত কাজ শেষ করতে অধিক সময় একসাথে সময় কাটানো প্রয়োজন, যার জন্য সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য।
আলোচনার এ পর্যায়ে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।
আজকের আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অংশ নেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, যেমন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল।
এছাড়াও, আজকের আলোচনায় উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সোমবার (০৭ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।