ঢাকা | সোমবার | ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ স্থানে ভাঙন, ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ১৫টি স্থানে ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে দুই উপজেলার মোট ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গনের মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ১০টি ও ফুলগাজী উপজেলায় ৫টি রয়েছে। বন্যার পানি এসব ভাঙ্গনের মাধ্যমে লোকালয়ে প্রবেশ করায় এলাকাবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে যদি উজানে ভারী বর্ষণ থাকে তাহলে পানির মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ভাঙনের বিস্তারও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরশুরাম উপজেলার ভাঙ্গনস্থানগুলো হল: জঙ্গলগোনা ২টি, উত্তর সালদর ১ টি, নোয়াপুর ১ টি, পশ্চিম অলকা ১ টি, ডি এম সাহেবনগর ১টি, পশ্চিম গদানগর ১টি, দক্ষিন বেড়াবাড়ীয়া ১টি এবং পূর্ব সাতকুচিয়া ১টি, মোট ১০টি। ফুলগাজী উপজেলার ভাঙ্গনস্থানগুলোতে রয়েছে: দেড়পাড়া ২টি, শ্রীপুর ১টি, উত্তর দৌলতপুর ১টি এবং কমুয়া ১টি।

ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, ৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৯ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট ৪৮ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, ৯ জুলাই সকাল ৯টার সময় মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার থেকে ৬৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলোতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৯৯টি কেন্দ্র রয়েছে নির্দিষ্ট করা। ভারী বর্ষণে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবনে ধাক্কা লেগেছে। শহরের শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর, শাহীন একাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, পেট্রো বাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ পানি কমতে শুরু করেছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তাদের তদারকি করছে। বন্যার পর ভাঙনস্থলগুলো মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।