তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস ব্যবহার চিহ্নিত ও উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। এর ধারাবাহিকতায়, ৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি-র আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ, নারায়ণগঞ্জের বিশেষ টিম মুন্সিগঞ্জের জোবিআ এলাকায় রাত ১১:৪৫ টায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় মেসার্স আল মদিনা বোর্ড মিলস এবং মেসার্স বিসমিল্লাহ বোর্ড মিলস নামে দুটি গ্রাহকের গ্যাস মিটার বাইপাসের মাধ্যমে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। ফলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাইপাস লাইনগুলো কিলিং ও ক্যাপিং করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এরপর ৮ জুলাই ২০২৫-এ মিরপুর এলাকায় তিতাস গ্যাসের ভিজিল্যান্স টিম একইভাবে ২টি বাণিজ্যিক ও ১টি আবাসিক গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এডভান্স অ্যাট্যায়ার প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত ২৩৫ কেজি বয়লারের পরিবর্তে অনুমোদনবিহীন ৫০০ কেজি বয়লার ব্যবহারের অভিযোগে এবং টিএমএস গার্মেন্টস লিমিটেডে অনুমোদিত ১৫০ কেজি বয়লারের বদলে ৩৫০ কেজি বয়লার ব্যবহার করার কারণে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই সঙ্গে মো: হোসেন নামক এক গ্রাহকের ভবনে অনুমোদনের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক ডাবল চুলায় গ্যাস সংযোগ থাকার বিষয়ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে, ২৩টি অবৈধ চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্লাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়।
অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের কারণে এই সকল গ্রাহকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক অর্থ আদায়ও করা হয়। ভালুকা ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক রাজস্ব শাখার বিশেষ অভিযানে তিনটি আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ৮৮,৭৪০ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া, মেসার্স মেগা ইয়ার্ণ ডায়িং মিলস্, সারদাগঞ্জ, কামিশপুরের গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে উভয় রান গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস ব্যবহারে কঠোর অবস্থান নিয়ে এসব অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে, যাতে সংস্থার সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং অবৈধ কাজে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।