মিয়ানমারের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ফুটবল ইতিহাস গড়েছে দেশের নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এশিয়ানের কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় তারা অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে, যা সারা জীবন গর্ব করার মতো ঘটনা। গত শনিবার গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরে নারী ফুটবল দলকে বাফুফে হাতিরঝিলের এম্পিথিয়েটারে সংবর্ধনা দিয়েছে।
যদিও সবাই ভাবছিল বাফুফে বড়সড় কোনো ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছে, কারণ কঠিন তিনটি ম্যাচ খেলার পর ক্লান্ত ফুটবলারদের জন্য বিশেষ কিছু করা দরকার ছিল। কিন্তু আশার প্রত্যাশায় থাকা খেলোয়াড়রা শুধু একটি ফুলের তোড়া পেলেন, যা তাদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়েছে। বাফুফে যদিও সরাসরি কিছু বলেনি, তবে খেলোয়াড়রা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাত জেগে আসার প্রয়োজন ছিল না, কারণ তোড়া দেয়া যেকোনো সময় বাফুফে ভবনেও দেওয়া যেত।
ঢাকায় ফিরে ফের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সামনে তারা এই হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বাফুফের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা ১.৫ কোটি টাকা পুরস্কার তারা এখনও পাননি। এশিয়ান কাপ ফুটবলে খেলার প্রাপ্তি সবাইকে সম্মান জানাতে বড় আয়োজন করা যেত, সরকারের সহযোগিতায় সংবর্ধনা যেমন করা যেত। কিন্তু বেশ তড়িঘড়ি সংবর্ধনার আয়োজন এবং এরপর নেমে এসেছে এই হতাশার মেঘ।
বাফুফের এক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সংবর্ধনার জন্য ‘হাইভোল্টেজ’ এবং ‘কে-স্পোর্টস’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার ফলে তাতে ২০ লাখ টাকার বিল হয়েছে। তবে বাফুফে তা গোপন রাখছে। পরশু ফুটবলারদের বেতন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি নারী ফুটবল দলের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।