ঢাকা | রবিবার | ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

শুল্ক আলোচনা: আগস্টের আগেই ইতিবাচক ফলের আশাবাদ ঢাকার

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনদিনব্যাপী দ্বিতীয় দফা শুল্ক আলোচনা শেষে বেশ কিছু বিষয়ে

অগ্রগতি হওয়ায় বাংলাদেশের আশা, ১ আগস্টের নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি ইতিবাচক ফল

অর্জন সম্ভব হবে।

শনিবার (১২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন,

‘কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত থাকলেও আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে।’

আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব বাংলাদেশি পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক

আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি জানান, উভয় পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলবে

এবং দুই দেশের প্রতিনিধিরা আবারও বৈঠকে বসবেন। আলোচনা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি— উভয়

মাধ্যমেই হতে পারে। তারিখ ও সময় শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।

প্রয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব ও অতিরিক্ত সচিব আবারও

যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানান আজাদ।

তিনদিনের আলোচনা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ড. খলিলুর রহমান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে

আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য

উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ডাক,

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তায়েব

ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন: শুল্ক আলোচনা: বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও অগ্রগতির দেখা নেই

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি,

জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট সংক্রান্ত সংস্থার কর্মকর্তারাও এই বৈঠকে উপস্থিত

ছিলেন।

আলোচনার সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য

প্রতিনিধি কার্যালয় (ইউএসটিআর) ৯–১১ জুলাই পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফা

আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়।

গত ৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের চিঠি পাঠান,

যেখানে বাংলাদেশ অন্যতম।

তিনি চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেন, ‘আপনার দেশের বাজার

আমাদের জন্য উন্মুক্ত করলে এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে নিলে, আমরা এই চিঠিতে

উল্লিখিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক হার পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের

সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ঘোষিত এই শুল্কহার বৃদ্ধি বা হ্রাস— উভয়ই হতে পারে। তিনি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র

কখনোই আপনাকে হতাশ করবে না।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে ৩৫ শতাংশ হার এখনও যথেষ্ট

নয়। তবে আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করেন, তাহলে কোনো শুল্কই

থাকবে না। বরং দ্রুত অনুমোদন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’