ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতে পড়ে থাকা একজন বাংলাদেশি নাগরিক মোঃ ওবাইদুল হোসেন (৪০) এর মরদেহ ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ভারতের মধুপুর এলাকায় এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ পাওয়ার খবর ভারতের বিএসএফ মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) কে জানানো হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, মরদেহটি মেইন পিলার ৪৮ থেকে প্রায় ২০০ গজ ভিতরে ভারতীয় এলাকায় পাওয়া গেছে এবং একই দিন ভারতীয় পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর ২৮ এপ্রিল, মোঃ হানেফ আলী নামে এক ব্যক্তি যাদবপুর বিওপিতে এসে দাবি জানান যে, মৃতদেহটি তার ছেলে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের, যিনি ২৬ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। মরদেহ ফেরত পেতে তিনি বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেন।
বিজিবি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও চাপ সৃষ্টি করে। এর প্রেক্ষিতে ৯ জুলাই বিএসএফ জানায় যে, ভারতীয় পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এরপর ১২ জুলাই দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস এলাকায় শূন্যরেখায় মরদেহটি আনা হয়।
এসময় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের বাবা হানেফ আলী এবং পমাতা নাছিমা খাতুন মরদেহ ও তার পরিধেয় বস্ত্র দেখে সনাক্ত করেন। এরপর বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে মহেশপুর থানা পুলিশ স্থানীয় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া ও গ্রাম মেম্বার মোঃ হাসানুজ্জামানের উপস্থিতিতে মরদেহটি ওবাইদুল হোসেনের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি জানায়, সীমান্তে মানবিকতা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের ভিত্তিতে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।