শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে পরাজিত হলেও, গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের এই তারকা অলরাউন্ডার ব্যাট ও বল দুটোতেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ম্যাচসেরার খেতাব জিতেছেন এবং নিজের অভিষেককে স্মরণীয় করে তুলেছেন।
সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ২২ রানের বিজয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে সাকিবের অধিনায়কত্বে। ব্যাট হাতে ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রান করেন তিনি, যখন বল হাতে মাত্র ১৩ রান খরচ করে চারটি উইকেট নেন। তার এই অলরাউন্ড অবদানে দলের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার হয়।
ম্যাচ শেষে দুবাই ক্যাপিটালসে সুযোগ পাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাকিব জানিয়েছেন, ‘এটি ছিল একটি লাস্ট মিনিট কল। দলের একজন খেলোয়াড় চোট পাওয়ায় আমাকে বদলি হিসেবে আনতে হয়েছে। দুবাই ক্যাপিটালসের অংশ হওয়ায় আমি অনেক গর্বিত।’
ক্যারিবিয়ানের কন্ডিশনের প্রতি তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে এখানে খেলছি, তাই এখানে খেলার পরিবেশ আমার জন্য সেকেন্ড হোমের মতো হয়ে উঠেছে। আমি ভালোভাবেই জানি কিভাবে বল করতে হয়, আর অ্যামাজনের অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগছে। এটি আমার জন্য একটি সফল ম্যাচ ছিল। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি।’
ব্যাটিং ও বোলিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘উভয় ক্ষেত্রেই সাফল্য ছিল জরুরি, বিশেষ করে উইকেটে টিকে থাকতে হয়েছিল, কারণ অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছিল। আমরা ১৬০ এর উপরে স্কোর করতে পেরেছি যা গায়ানার কন্ডিশনে জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। প্রথম ম্যাচে এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে এবং আশা করি এখান থেকে আরও ভালো খেলা করতে পারব।’
দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান যেমন নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছেন, তেমনি দুবাই ক্যাপিটালসও পেয়েছে এক সাহসী এবং শক্তিশালী শুরু।