ঢাকা | শুক্রবার | ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে তিন জনের দোষ স্বীকার

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী

লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার

করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার পৃথক তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের

জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

তিন আসামির বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা

স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুজ্জামান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ

এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড

করেন।

পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচদিন ও গত ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের ৪ দিনের রিমান্ডের

আদেশ দেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের

৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল

চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়িভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা

করে। ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের

বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫

থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র

মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

নিহত মো. সোহাগ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী

হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির

ব্যবসা করে আসছিলেন।