রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ক্যাম্পাসে এফ-৭ প্রশিক্ষণ বিমান
বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে জাতীয়
বার্ন ইনস্টিটিউটে একজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন ও কুর্মিটোলা
মেডিকেল কলেজে দুজন মারা গেছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর
রহমান বলেন, ‘জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে একজন এবং কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২ জন মারা
গেছেন। কিন্তু এখানে আসা রোগীদের মধ্যে শিশু অনেকেই এসেছে, তাদের অনেকের জীবন
ঝুঁকির মধ্যে আছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞদল নিযুক্ত
করা হয়েছে। তারা কিছুক্ষণের মধ্যে এখানে যোগ দিবেন। এখন পর্যন্ত এখানে ৬০ জনের মতো
ভর্তি করা হয়েছে। আরও ১০-১৫ জন ভর্তি করার মতো সক্ষমতা এখানে আছে। এরপর ঢাকা
মেডিকেল প্রস্তুত আছে। এরপর যারা আসবেন সেসব রোগীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া
হবে।
‘এটা একটি বড় ধরনের ঘটনা, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে, সব
বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজেও যোগাযোগের মধ্যে আছে। রোগীদের ঢাকা
মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে ঢামেক বার্নের বিভাগীয় প্রধান বিধান সরকার বলেন, এখানে যারা ভর্তি হয়েছেন,
তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বেশির
ভাগই শিক্ষার্থী। আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে
জরুরি সেবা খোলা হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবন পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এতে অন্তত
একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর
(আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার দুপুর
১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে
দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের
আটটি ইউনিট।