ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তা করছে সরকার: কৃষি উপদেষ্টা

কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) মাধ্যমে আলু

বিক্রির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল

(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন কৃষি

উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘গতবার যে দামে আলু কিনেছেন, এবার কৃষক এখন আলুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে

না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক যেন আলুর দাম পায়। তাই ওএমএসের মাধ্যমে আলু সরবরাহের

উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছি। কৃষক যদি পণ্যের দাম না পায় পরবর্তীতে কিন্তু তারা এটি

উৎপাদনের দিকে যাবে না। এজন্য চেষ্টা করতে হবে কৃষক যাতে ন্যায্য দামটা পায়।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘গতবার যে পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল। এবার কিন্তু কৃষক অনেক বেশি

পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি করায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেও

কিন্তু বাজারটা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। এগুলো কিন্তু কৃষকেরই অবদান।’

পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার জন্য কৃষককে আট হাজার এয়ার ফ্লো দেওয়া হয়েছে। কৃষক যাতে

তার বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন।

কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একশোটি মিনি কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন করার আমাদের পরিকল্পনা

আছে। আগামী মৌসুমের আগেই হয়তো আমরা এটি কমপ্লিট করতে পারব। এরপর আস্তে আস্তে

সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে কৃষকরা সেখানে সবজিটা সংরক্ষণ করতে পারবে। তারা

ন্যায্যমূল্যটা পাবে একই সঙ্গে আমরা ভোক্তারাও ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাব।’

তিনি বলেন, ‘দেশ যারা বাঁচিয়ে রেখেছেন তাদের মধ্যে কৃষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি।

আমরা তাদের অবদানটা সেভাবে প্রকাশ করি না।’

চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ টন বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে, তারপরও বাজারে চালের দাম ২

থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।’

সার ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমরা

ইউরিয়া সার ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা সার্বিকভাবে স্যারের

ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলনেও কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের

তিনি আরও বলেন, ‘খামারি অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কোন স্থানে

দাঁড়িয়ে সেখানে কোন ধরনের সার লাগবে সেটা অ্যাপ বলে দিতে পারবে। ওই এলাকায় কোন

ফসল ভালো হবে—সেটাও বলে দেবে। এটা যাতে আরও উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে আমাদের কাজ

চলছে।’

বর্তমানে দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। নভেম্বর পর্যন্ত সারের কোনো সংকট হবে না বলেও

জানান কৃষি উপদেষ্টা।

সারের ডিলারশিপ দিতে নতুন করে নীতিমালা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা সারের

লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা করছে, আমরা তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে লাইসেন্স দেবো। যারা

ভাল লোক আমরা তাদের লাইসেন্স দেওয়ার চেষ্টা করব।’