সরকারি কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামো সুপারিশ করতে ‘জাতীয়
পে কমিশন ২০২৫’ গঠন করেছে সরকার।
রবিবার (২৭ জুলাই) অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক
প্রজ্ঞাপনে কমিশন গঠনের কথা জানানো হয়।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ১৫তম ধারা অনুযায়ী গঠিত এ কমিশনের পূর্ণকালীন
চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান।
কমিশনের তিনজন পূর্ণকালীন সদস্য হলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক হিসাব
মহানিয়ন্ত্রক মো. মুসা উদ্দিন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিম।
কমিশনে আরও ১৯ জন খণ্ডকালীন সদস্য থাকবেন, যারা প্রশাসন, শিক্ষা ও পেশাগত বিভিন্ন
খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের মনোনীত
ছয়জন প্রতিনিধি কমিশনের সদস্য হবেন। পাশাপাশি আইসিএবি ও এফবিসিসিআই সভাপতিরাও
কমিশনে থাকবেন।
পড়ুন: রুফটপ সোলার কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সফট লোন প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞরা
কমিশনের দায়িত্বে রয়েছে সরকার, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুদানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের—১৯৮৫ সালের
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বাদে—কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করা।
সুপারিশের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—বেতন কাঠামো, বিভিন্ন ভাতা (বাড়িভাড়া,
চিকিৎসা, যাতায়াত ইত্যাদি), কর কাঠামো, মূল্যস্ফীতির সামঞ্জস্য, অবসর ও পেনশন
সুবিধা এবং পরিবহন ও টেলিফোনের মতো নগদবিহীন সুযোগ-সুবিধার নগদায়ন।
কমিশন পরিবারভিত্তিক জীবিকাখরচ, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,
সরকারের আর্থিক সক্ষমতা, দারিদ্র্য হ্রাস কৌশল এবং দক্ষ জনবল ধরে রাখার দিকগুলোও
বিবেচনায় আনবে।
কমিশনকে প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।