ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচনে ভয় পেলে রাজনীতির নয়, এনজিওতে যোগ দেওয়া উচিত: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পান, তাদের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়। তার পরিবর্তে তারা এনজিও বা প্রেসার গ্রুপের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন এড়িয়ে গিয়ে একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা গ্রহণযোগ্য নয়।”

রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু আরও জানান, যেসব দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর নির্বাচন পিছিয়ে গেছে, সেখানে বিভাজন, গৃহযুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দেখা মিলেছে। অপরদিকে, যারা দ্রুত নির্বাচন করে গণতন্ত্রে ফিরে এসেছে, তারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রগতি করেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও কেউ একে ‘হাইজ্যাক’ করতে পারবে না। কারণ, অধিকার আদায়ের ইতিহাস বাংলাদেশের জনগণের রক্তে লেখা। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনা না গেলে আমরা বাড়ি ফিরতাম না; তখন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকত।”

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের জনগণের ওপর মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। যদিও বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু বিএনপি কখনো কৃতিত্ব দাবি করেনি।

বিএনপি নেতা জানান, গণ-অভ্যুত্থান সফল হবে অনবরত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

আমীর খসরু বলেন, সব বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য জরুরি নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্নমত ও বিশ্বাস রাখবে, যা স্বাভাবিক। তবে জাতীয় স্বার্থে ঐক্য থাকা আবশ্যক। মতপার্থক্য না থাকলে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “আমরা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি।”

তিনি যোগ করেন, শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশের মানুষের মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে। যারা এই পরিবর্তন গ্রহণ করতে পারছেন না, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

বিএনপি নেতার ভাষ্যে, নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না, আর বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন।